মিমি : অভিনয়ের চেয়ে পরিচালনাই বেশি উপভোগ করছি
![]() |
আফসানা মিমি |
অভিনয় ও পরিচালনা দুই জায়গায়ই দক্ষতার ছোঁয়া রেখেছেন আফসানা মিমি। তবে ইদানীং তিনি ক্যামেরার সামনের চেয়ে পেছনের কাজকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেই পথ ধরেই এবার আরো একটি নতুন ধারাবাহিক নাটক পরিচালনার ঘোষণা দিলেন। নাম সাতটি তারার তিমির। এ প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ‘আমি বরাবরই সময়কে চিন্তার প্রাধান্যে রাখি। আমার আগে পরিচালিত নাটকগুলোর মধ্যে দর্শক সেটি প্রত্যক্ষ করেছেন। নতুন নাটকের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না।’ নতুন ধারাবাহিকে সাতজন তরুণীর গল্প তুলে ধরবেন তিনি। এর চিত্রায়ন শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। মিমি জানান, তার সর্বশেষ ধারাবাহিক ডলস হাউজ-এ তিনি নারীদের প্রাধান্য দিয়েছিলেন। নতুন ধারাবাহিকেও থাকছে নারীদের গল্প। নাটকটিতে অভিনয় করবেন সানজিদা প্রীতি, মৌসুমী নাগ, প্রভা, মৌসুমী হামিদ, মুমতাহিনা টয়া, স্বর্ণা, নাফিসা প্রমুখ।
পরিচালনায় নিয়মিত হওয়ার পর থেকেই অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন মিমি। সর্বশেষ গত ঈদে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত টেলিফিল্ম আকাশ জোড়া মেঘ-এ অভিনয় করেছিলেন তিনি। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে তারই পরিচালিত দীর্ঘ ধারাবাহিক পৌষ ফাগুনের পালার শেষ ক’টি পর্বে অভিনয় করেছিলেন আফসানা মিমি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে নিয়মিতভাবে অভিনয় করতে পাচ্ছি না। আসলে এখন পরিচালনাকেই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছি আমি।’
শোবিজে পথচলার ২৫ বছরের বেশি সময় অতিক্রম করেছেন আফসানা মিমি। অভিনয়ে তার অভিষেক হয়েছিল মঞ্চে। ১৯৮৬ সালে ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে প্রথম মঞ্চে ওঠেন তিনি। অভিনয় করেন মনোজ মিত্রের রাজদর্শন নাটকে রানী চরিত্রে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রয়াদ সৈয়দ মহিদুল ইসলাম। একই নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য গাজী রাকায়েতের মাধ্যমে।
পরবর্তীকালে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত হন। এ প্রসঙ্গে আফসানা মিমি বলেন, ‘নাগরিকে আসলে আমি বুঝতে পারি থিয়েটার জিনিসটা কী! বুঝতে পারি, অভিনয়ের মতোই থিয়েটারের অন্য কাজগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকেরকে আমি গুরু মানি। আমি যখন নাগরিকে যুক্ত হই, তখন সব বিখ্যাত মানুষের সমাবেশ ছিল গ্রুপে। জামালউদ্দিন হোসেন, রওশন আরা হোসেন, আলী যাকের, ড. ইনামুল হক, লাকী ইনাম, আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, নিমা রহমান, খালেদ খানসহ আরো অনেকে। নাগরিকে যুক্ত হওয়ার পর এমন সব গুণী মানুষের সান্নিধ্য আমার ভেতরে যেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে।’ টিভি পর্দায় আফসানা মিমি মিষ্টিমুখ প্রথম দেখা যায় বিজ্ঞাপন চিত্রে। পেপস জেল টুথপেস্টটি এখন না দেখা গেলেও নব্বইয়ের দশকে এটি নিয়মিত বাজারে দেখা যেত। প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল মামুনের জিরো পয়েন্ট নাটকের মাধ্যমে ছোটপর্দায় প্রথম অভিনয় করেন।
২০০০ সালে ধারাবাহিক নাটকবন্ধন দিয়ে পরিচালনায় আসেন। এ দিকে বৈরী আবহাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, তারকাদের শিডিউল জটিলতাসহ নানা কারণে মিমির পরিচালিত রান ছবির কাজ কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। রান ছবিতে দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকারা অভিনয় করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেনÑ সব্যসাচী চক্রবর্তী, প্রীয়াংশু চ্যাটার্জি, সুভাশিষ ভৌমিক, ইন্তেখাব দিনার, সানজিদা প্রীতি ও রাহুল আনন্দ। জাফর ইকবালের লেখা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস ক্যাম্প অবলম্বনে রান ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। ছবিতে তারকা অভিনয় শিল্পীরা ছাড়াও একঝাঁক নবীন শিল্পীও অভিনয় করছেন।
পরিচালনায় নিয়মিত হওয়ার পর থেকেই অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন মিমি। সর্বশেষ গত ঈদে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত টেলিফিল্ম আকাশ জোড়া মেঘ-এ অভিনয় করেছিলেন তিনি। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে তারই পরিচালিত দীর্ঘ ধারাবাহিক পৌষ ফাগুনের পালার শেষ ক’টি পর্বে অভিনয় করেছিলেন আফসানা মিমি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে নিয়মিতভাবে অভিনয় করতে পাচ্ছি না। আসলে এখন পরিচালনাকেই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছি আমি।’
শোবিজে পথচলার ২৫ বছরের বেশি সময় অতিক্রম করেছেন আফসানা মিমি। অভিনয়ে তার অভিষেক হয়েছিল মঞ্চে। ১৯৮৬ সালে ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে প্রথম মঞ্চে ওঠেন তিনি। অভিনয় করেন মনোজ মিত্রের রাজদর্শন নাটকে রানী চরিত্রে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রয়াদ সৈয়দ মহিদুল ইসলাম। একই নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য গাজী রাকায়েতের মাধ্যমে।
পরবর্তীকালে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত হন। এ প্রসঙ্গে আফসানা মিমি বলেন, ‘নাগরিকে আসলে আমি বুঝতে পারি থিয়েটার জিনিসটা কী! বুঝতে পারি, অভিনয়ের মতোই থিয়েটারের অন্য কাজগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকেরকে আমি গুরু মানি। আমি যখন নাগরিকে যুক্ত হই, তখন সব বিখ্যাত মানুষের সমাবেশ ছিল গ্রুপে। জামালউদ্দিন হোসেন, রওশন আরা হোসেন, আলী যাকের, ড. ইনামুল হক, লাকী ইনাম, আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, নিমা রহমান, খালেদ খানসহ আরো অনেকে। নাগরিকে যুক্ত হওয়ার পর এমন সব গুণী মানুষের সান্নিধ্য আমার ভেতরে যেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে।’ টিভি পর্দায় আফসানা মিমি মিষ্টিমুখ প্রথম দেখা যায় বিজ্ঞাপন চিত্রে। পেপস জেল টুথপেস্টটি এখন না দেখা গেলেও নব্বইয়ের দশকে এটি নিয়মিত বাজারে দেখা যেত। প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল মামুনের জিরো পয়েন্ট নাটকের মাধ্যমে ছোটপর্দায় প্রথম অভিনয় করেন।
২০০০ সালে ধারাবাহিক নাটকবন্ধন দিয়ে পরিচালনায় আসেন। এ দিকে বৈরী আবহাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, তারকাদের শিডিউল জটিলতাসহ নানা কারণে মিমির পরিচালিত রান ছবির কাজ কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। রান ছবিতে দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকারা অভিনয় করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেনÑ সব্যসাচী চক্রবর্তী, প্রীয়াংশু চ্যাটার্জি, সুভাশিষ ভৌমিক, ইন্তেখাব দিনার, সানজিদা প্রীতি ও রাহুল আনন্দ। জাফর ইকবালের লেখা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস ক্যাম্প অবলম্বনে রান ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। ছবিতে তারকা অভিনয় শিল্পীরা ছাড়াও একঝাঁক নবীন শিল্পীও অভিনয় করছেন।
কোন মন্তব্য নেই: