কন্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের পরকিয়ার ফাঁদে মিতা!

আব্দুল জব্বার
মিডিয়াডটবিডিঃ কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বার ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোকেয়া জব্বার মিতাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেছেন।

অথচ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া জব্বার মিতা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন আব্দুল জব্বার। কিন্তু সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে নিজের প্রাথমিক বক্তব্য পরিবর্তন করেন আব্দুল জব্বার।

এ প্রসঙ্গে আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মিতা আমার স্ত্রী নয়। তার সঙ্গে আমার কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক নেই। মিতার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় একটি মাজারে। তাকে অসহায় অবস্থায় দেখে আমি তাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম। সে আমার আশ্রয়েই ছিল। কিন্তু তার সঙ্গে আমার কোনো রকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘মিতার ইতিপূর্বে একটি বিয়ে হয়েছিল। সে ঘরে একটি মেয়েও আছে। তবে মেয়েটি তার স্বামীর সঙ্গে থাকে।’

আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমি গত দুইদিন বিটিভির কিছু প্রোগামে ব্যস্ত থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। বাসায় যাওয়া হয়নি। আজ বাসায় ফিরে দুপুরের খাবার খেতে চাইলাম। মিতা টেবিলে খাবার দিল। একপর্যায়ে খাবার টেবিলেই তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। অভিমান বশত সে আমার সঙ্গে চরম খারাপ ব্যবহার করে। তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে গায়ে আগুন দেয়।’

আব্দুল জব্বার জানান, মাজার থেকে তুলে এনে রামপুরা বনশ্রীর ‘এ’ ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাসায় মাসিক ১৫ হাজার টাকা বাসা ভাড়ায় মিতাকে তিনি বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন। পাশাপাশি তার সব ভরণ পোষণের ভারও তিনি নিজেই বহন করছিলেন।

মিতার সঙ্গে শারীরিক বা মানসিক কোনো সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কি না এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান আব্দুল জব্বার।

এর আগে হাসপাতালে উপস্থিত শিল্পী আব্দুল জব্বার বলেন, ‘গত ৫ থেকে ৬ বছর আগে একটি মাজারে গিয়ে মিতার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। মেয়েটি অসহায় ছিল। তাই তাকে আমি বিয়ে করি।’

এদিকে আত্মহত্যার সঙ্গে সঙ্গেই খবরটি বনশ্রী এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যপারে পুলিশ কিছ্ইু জানে না বলে জানিয়েছেন রামপুরা থানার ওসি (তদন্ত) নাসির আহমেদ।

বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আমাতুন নূর জানান, আগুনে রোকেয়া জব্বার মিতার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

, ,

কোন মন্তব্য নেই: