ডালিমের হরেক গুণাগুন

ডালিম একটি স্বর্গীয় ফল। এর ইংরেজি নাম Pomegranate। বৈজ্ঞানিক নাম Punica granatum। বাংলায় ডালিম নামটি এসেছে সংস্কৃত ‘দাড়িম্ব’ থেকে। সারা বিশ্বে বিভিন্ন নামে ডালিম পরিচিত। এছাড়া ফল হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

ডালিমের দানা ফ্রুট সালাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়া জুস, ফালুদা, কাস্টার্ড ইত্যাদি তৈরিতে ডালিম ব্যবহার করা হয়। বিশেষ ধরনের কাবাবের উপকরণ হিসেবে ডালিমের রস ব্যবহার করা হয়।

ডালিম ফল হিসেবে খুবই গুণের। বিশেষ করে রোগ সারাতে রোগীর পথ্য হিসেবে ডালিমের জুড়ি নেই! ডালিমের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে -

খাদ্যশক্তি- ৬৫ কিলোক্যালরি
জলীয় অংশ- ৭৮ গ্রাম
চিনি- ১৩.৬৭ গ্রাম
শর্করা- ১৪.৬ গ্রাম
চর্বি- ০.১ গ্রাম
থায়ামিন- ০.০৬ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লেভিন- ০.১ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন- ০.৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি- ১৬ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম- ১০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ৩৬ মিলিগ্রাম
আয়রন- ০.৩ মিলিগ্রাম
ফোলেট- ৩৮ আইইউ
ভিটামিন ই- ০.৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে- ১৬.৪ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম- ২৩ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম- ৩ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম- ১২ মিলিগ্রাম
জিংক- ০.৩ মিলিগ্রাম

পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ডালিমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণও! যেমন -

ডালিমগাছের শেকড়, ছাল, ফলের খোসা আমাশয় ও উদরাময়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডালিমের ফুল ঋতুস্রাবজনিত সমস্যার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ডালিম ঠান্ডাজনিত রোগ উপশম করে। শ্বাসকষ্ট, কাঁশি ও বাতের ব্যথা দূর করতে ডালিমের জুড়ি নেই। ডালিম অরুচি দূর করে ও খিদে বাড়ায়। ডালিমের রস বমি বন্ধ করে এবং অনবরত বমির ফলে শরীরে যে ক্লান্তি আসে তা দূর করে।

ডালিমে উপস্থিত ভিটামিন সি ও বি দাঁত এবং মুখের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডালিমের আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়া ও ফোলেট শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।

ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া ডালিম বার্ধক্য বিলম্বিত করতেও সহায়তা করে।

ডালিমের গুণাবলি রক্তের তারল্য ঠিক রাখে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ডালিমের রস খুবই ভালো ত্বক পরিষ্কারক। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও ডালিমের রস কার্যকর।

কোন মন্তব্য নেই: